বাবুল রহমান রবিন
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী এলাকার জিগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ এস এম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে স্থানীয় জনগণ একজোট হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ২০১১ সালে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। নিয়োগের পর থেকেই তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে একক আধিপত্য বিস্তার করেন এবং পারিবারিক প্রভাব খাটিয়ে পদ নিয়োগে, কমিটি গঠনে ও অর্থ আত্মসাতে জড়িত হন।
স্থানীয় অভিভাবক আব্বাস আলী মন্ডল ও মাহমুদুল হাসান রতন জানান, রফিকুল ইসলাম তার নিজের চাচাতো ভাই মোঃ নজরুল ইসলামকে দু’বার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে বসিয়ে দেন, যা বিদ্যালয়ের স্বচ্ছতার নীতিমালা লঙ্ঘন করে। এর ফলে তিনি বিদ্যালয়ের অভিভাবক কমিটিতেও নিজের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন।
এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, রফিকুল ইসলামের স্ত্রীকে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দিয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার পরও বেতন-ভাতা উত্তোলণের ব্যবস্থা করেন। এ ব্যাপারে প্রমাণও রয়েছে যে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তিনি একই সঙ্গে দুটি সরকারি চাকরির বেতন নেন, যার প্রমাণ যুব উন্নয়ন অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছে অনৈতিক অর্থ গ্রহণের অভিযোগও রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিককালে, আইসিটি শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও প্রভাবশালী মহলের কারণে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ এনজিওকে ভাড়া দিয়ে অতিরিক্ত আয় করছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের বই, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সম্পদ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার ও বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকার অভিভাবকরা এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মোঃ তরিকুল ইসলাম কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত
বাগেরহাট প্রধান কার্যালয়:
বাসস্ট্যান্ড আল আমিন হোটেল এর নিচে বাগেরহাট
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত