দুর্গাপুর প্রতিনিধি নাইম হোসেন
রাজশাহী দুর্গাপুরে ১২ এপ্রিল, রোজ: শনিবার “১৯৮০-৯০ দশকের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফোরাম” দূর্গাপুর, রাজশাহীর উদ্যোগে ঈদ পূর্ণমিলনী-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে শুরুর আগে কুরআন তেলোয়াত ও জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তলন করা হয় পরে এক বিশাল র্যালির আয়োজন হয়। র্যালিটি দাখিল মাদ্রাসা হয়ে সিংগা বাজার হয়ে আবার দাখিল মাদ্রাসায় শেষ হয়।
উক্ত অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা।
প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ভি.পি. মাদার বক্স হল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, কেন্দ্রিয় কমিটি ও সাবেক একাডেমিক কাউন্সিল ও সিনেট সদস্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রধান বক্তা।মোঃ মন্জুরুল বলম মন্জু সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাজশাহী জেলা শাখা।
সভাপতি। এ.এফ. এম আবু সাঈদ তোতা, সাবেক সভাপতি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দুর্গাপুর থানা, আহ্বায়ক, ১৯৮০- ৯০ দশকের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফোরাম।
বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, ছাত্রদল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও জাতির প্রয়োজনের কাজ করে যাচ্ছে। বছরের পর বছর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পালিয়ে ছিলেন, নিজের পরিবারকে সময় দিতে পারেন নি। আপনি যদি ছাত্রদলের ইতিহাস দেখেন তা হলে দেখবেন এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যান নি ছাত্রদল নেতারা। ত্যাগ ও বির্সজনের মধ্যে দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছাত্রদলের। গত ১৭ বছর বিভিন্ন কৌশলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতিহত করার চেষ্ঠা অব্যাহত ছিলো। বিগত বছর গুলোতে দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ব্যানারে মিছিল করার সুযোগ পায় নি, এমনকি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানও করতে পারে নি ছাত্রদল, তা থেকে প্রমাণিত পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদলের নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজ বাধাগ্রস্থ করে রেখে ছিলো বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগর সরকার তারপরও বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বিএনপির উপর মানুষের এত প্রত্যাশা কারণ হচ্ছে দেশটিকে তলাবিহিন জুড়ি থেকে অল্প দিনের মধ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমান একটি সফল কার্যক্রর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে ছিলেন। শহীদ জিয়ার অল্প দিনের সেই নজির দেখে দেশের মানুষ বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করেছে তার অনুসারিদের পক্ষেই সম্ভব এই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৩ বার এই দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। গত ১৭ বছরের এই দেশের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান গুলোকে যে ভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। সেগুলো ফিরিয়ে আনাই হচ্ছে বিএনপির কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নেতা, তোতা ভাই,এনামুন, গোলাম মোরগুজা,আঃ মান্নান,বাহার,ইউসুদ আলী,আকার জামান লাই,সাইদ,আয়নাল,যুবায়ের,রেজা প্রমোখ।
সেই সাথে এই দিনটি স্মৃতি হিসেবে রেখে দিতে চান নেতৃবৃন্দরা।।